বাঁশখালীতে হাতি মারার ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পর্শে দিলোয়ারা বেগম (৪৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৭টায় উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্য হাতির তা-ব বেড়ে গেছে। বন্য হাতি লোকালয়ে এসে ঘর-বাড়ি তছনছ করে দেয়। এ অবস্থায় হাতির ভয়ে সবুজপাড়ার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আজিমুল ইসলাম ভেদু বাড়ির আশপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পাতেন। স্থানীয় জনগণের ব্যবহার করা পুকুর পাড়েও যে ওই ফাঁদ ছিল তা অনেকেই জানতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে একই পাড়ার নুরুল আলমের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৪৮) ঘুম থেকে উঠে পুকুরে গোসল করতে গেলে হাতির জন্য পাতা ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পর্শ হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দিলোয়ারা বেগমের।
রামদাশ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল মোনাফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জয়নিউজকে বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোনো অভিযোগ করেননি। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে মরদেহ দাফনের অনুমতি দিয়েছি।
এদিকে দিলোয়ারা বেগমের স্বামী নুরুল আলম বলেন, কিভাবে মারা গেছে জানি না। কেউ বলছে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে, আবার কেউ বলছে স্ট্রোকের কারণে মারা গেছে দিলোয়ারা। কারো বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
একই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাতির ফাঁদ পাতা ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আজিমুল ইসলাম ভেদু জয়নিউজকে বলেন, দিলোয়ারা বেগমের মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
পুকুরিয়া ইউপি আসহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন, দিলোয়ারা বেগম মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসী আমাকে জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ দিয়ে করা হাতি মারার ফাঁদে তার মৃত্যু হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এসআই আব্দুল মোনাফ তদন্ত করেছেন। বিদ্যুৎ স্পর্শে তিনি মারা গেছেন। হাতি মারার ফাঁদে তিনি মারা গেছেন এমন অভিযোগ পরিবারের কেউ করেননি।
এদিকে কালীপুর রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রইসুল ইসলাম বলেন, বন্য প্রাণী দমনের জন্য কেউ ফাঁদ পাতলে সেটা দ-নীয় অপরাধ। বন্য প্রাণী হত্যা করা যাবে না।