খাগড়াছড়ির জিরো মাইলে বিসিক শিল্পনগরী এখন পরিণত হয়েছে খেলার মাঠ ও গো-চারণভূমিতে।
প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগানো ও পাহাড়ের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য খাগড়াছড়িতে বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয় সরকার। উদ্দেশ্য ছিল দুর্গম এই পার্বত্য জেলাকে শিল্পায়নে সমৃদ্ধ করা। এজন্য প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৭ সালে জমি অধিগ্রহণের পর ২০১১ সালে ১৯ উদ্যোক্তার মাঝে ৩৮টি প্লট বরাদ্দ দেয় বিসিক কর্তৃপক্ষ।
২০০৭ সালে শিল্পনগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ শেষ হওয়ার ১১ বছর পরও উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প কারখানা এখানে গড়ে ওঠেনি। ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সহজ শর্তে বিসিক শিল্পনগরীর ৭১টি প্লটের মধ্যে ৩৮টি উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
দেশের অন্যান্য এলাকায় বিসিকের প্লট বরাদ্দ নিতে প্রতিযোগিতা শুরু হলেও, এই জেলার চিত্র ভিন্ন। প্লট বিতরণের পর এক দশক পেরিয়ে গেলেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি শিল্পনগরী। বরং কয়েক বছর আগে স্থাপিত ৪টি কারখানার তিনটিই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ সভাপতি আবুল কাশেম জানান, প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের মাঝে কারখানা করার এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। শিল্প-কারখানা গঠনে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও ঋণ না পাওয়ায় এ সমস্যা। তাই সরকারিভাবে ব্যাংকঋণ প্রাপ্তিসহ সকল সুবিধা দিতে হবে। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তারা সফল হতে পারবে।
খাগড়াছড়ি বিসিকের ভারপ্রাপ্ত উপ-ব্যবস্থাপক কেএম সাদেকুর রহমান বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং ব্যাংকঋণের জটিলতায় উদ্যোক্তারা পিছিয়ে গেছে।