ধর্নাঢ্য আমির চৌধুরী রাউজান ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর সীমানায় নিজের মালিকানাধীন ১ একর ৩০ শতক জমিতে আমির হাট প্রতিষ্ঠা করেন।
আরএস জরিপে হাটের জায়গা আমির চৌধুরীর বংশধরদের নামে থাকলেও, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিএস জরিপে আমির হাট সরকারি খাসজমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। হাটে সরকার বাজার শেড ও মার্কেট নির্মাণ করে।
অভিযোগ উঠেছে, আমির হাটের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে হাটের নামে ১২ শতক সরকারি খাসজমি হলদিয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জবরদখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। দোকান ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা এই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিচ্ছে।
আমির হাটের প্রতিষ্ঠাতা আমির চৌধুরীর বংশধর আবুল বশর চৌধুরী প্রকাশ বশর মুন্সি জানান, আমার পূর্বপুরুষ আমির চৌধুরী ৩শ’ ৩৭ বছর আগে হাটটি প্রতিষ্ঠা করেন। হাটের জন্য দেওয়া জমি একসময় সরকারি খাসজমি হিসেবে রেকর্ড হয়। অথচ বর্তমানে বিএস জরিপে রেকর্ড করা ১২ শতক খাসজমি হলদিয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জবরদখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে।
ডাবুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমির হাটের বেশিরভাগ অংশ ডাবুয়া ইউনিয়নে, কিছু অংশ হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে। ডাবুয়া ইউনিয়নের অংশে আমির হাটের সরকারি খাসজমি দখল করে প্রভাবশালীরা দোকানঘর নির্মাণ করেছে।
এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন রেজাকে অবহিত করে জায়গা পরিমাপ ও সরকারি খাসজমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে।