পোষা পাখি, কবুতর, খরগোশসহ বিভিন্ন প্রাণীর কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে আছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাঠ। ৪র্থ বারের মতো আয়োজিত পোষা প্রাণীর এই মেলা চট্টগ্রামের সৌখিন পাখিপ্রেমিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেলার উদ্বোধন করেন সিভাসুর উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগাং বার্ড ব্রিডার্স, এসোসিয়েশন অব এভিয়ান ভেটেরিনারিয়ান, চট্টগ্রাম হাইফ্লায়ার জোন, বার্ডস এন্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিক ও এনিম্যাল কেয়ার অব চট্টগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মেলায় ৮০ প্রজাতির ৫০০টি পোষা পাখি, টার্কি, ১০টি খরগোশ, ১০ জাতের ৪৫টি কুকুর, ৫ জাতের ১৬টি বিড়াল, রেসার ও হাই ফ্লাইয়ার কবুতর, কচ্ছপ, প্রায় ১০০ প্রজাতির ৫০০ এ্যাকুরিয়াম মাছসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণী প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়। পোষা প্রাণী ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই গাছ বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
মেলাজুড়ে ছোট শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পোষা পাখিগুলো হাতে নিতে পেরে তাদের আনন্দের যেন আর শেষ ছিল না।
চিটাগাং বার্ড ব্রিডার্স এসোসিয়েশনের সংগঠক এনামুল হক শিবলু জয়নিয়জকে বলেন, বনের পাখি বনে, খাঁচার পাখি খাঁচায় এটাই আমাদের স্লোগান। ব্লু এন্ড গোল্ড ম্যাকাও, গ্রিন উইং ম্যাকাও এবং স্কারলেট ম্যাকাও প্রদর্শনের জন্য রেখেছি। তার সংগ্রহে সর্বনিম্ন দেড় লাখ থেকে আট লাখ টাকা দামের ম্যাকাও আছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ফিঞ্চ, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ভেলিট কুনোর, রুবিনো, রোজিলা, মিলি রোজেলাসহ ৫০০ প্রজাতির পোষা পাখি প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
এসোসিয়েশন অব এভিয়ান ভেটেরিনারিয়ান বাংলাদেশ উপদেষ্টা ও মেলা কমিটির সমন্বয়কারী ডা. মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ‘পোষা পাখির এই মেলা আয়োজনে আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষ যেন পোষা পাখি সম্পর্কে অবগত হন, পাখি সম্পর্কে বোঝেন। তাছাড়া অনেকে সৌখিনভাবেও পাখি লালন পালন করে অর্থ উপার্জনে সক্ষম হচ্ছেন।’
মেলার উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস।
মেলায় সামাজিক সংগঠন বাঁধন, পজিটিভ থিংকারস, এসএনএফ রাইডার্স, বাগান পরিবারসহ ৮টি ওষুধ কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।