রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জলিলনগর বাসস্টেশনের উত্তর পাশে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক থেকে জগন্নাথ বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। সড়কটি একসময় বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি সড়কটি উঁচু করে দেন। সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলে পথচারী ও যান চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে সড়কটির পুরো অংশ দখল করে বাজার বসানোর ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের পাশে জগন্নাথ বাড়ির পাশে সড়কটির পুরো অংশ দখল করে তরিতরকারি, ফল, মাছ, মাংস, শুঁটকির বাজার বসছে। মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে পথচারী ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করত। কিন্তু সড়কের উপর বাজার বসায় পথচারী ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
পৌরসভার সাপলঙ্গা এলাকার জনৈক রাসেল বাজারের বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা আদায় করেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান। রাসেল এই বাজার রাউজান পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়েছেন বলে দাবি করছেন। বিক্রেতারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মারধর করা হয় বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট দীলিপ কুমার চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
সড়ক দখল ও যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে কিভাবে রাউজান পৌরসভা বাজার ইজারা দেয়, এটা এলাকাবাসীর প্রশ্ন।