চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার ফয়েসলেকস্থ লেকভিউ আবাসিক হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মাঈনুদ্দিন ওরফে শাহরিয়া শুভ (২৮) নামের এক যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ নিহত শাহরিয়ার শুভ’র কথিত প্রেমিকা ডাঃ রোকসানা আক্তার (পপি)কে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহত শাহরিয়ার শুভ ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯নং শুভপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বালিরচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র। সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। আটক প্রেমিকা রোকসানা আক্তার (পপি)র বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট মেহেদী নগর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু আহম্মদ।
খুলশী থানার এসআই নোমান জয়নিউজকে জানান, ‘লেকভিউ মোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ২০৩ নম্বর রুম থেকে মাঈনুদ্দিন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের মাথা শরীর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। ‘
এদিকে নিহত শাহরিয়ার শুভ’র ঘনিষ্ট্য একটি সূত্র জানিয়েছে, শুভ ও পপির মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর ৩/৪ বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করে। পরে পপি চীন চলে যায়। চীনে থাকাকালে এর মধ্যে পপি মীরসরাই এলাকায় অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পপির সাথে শাহরিয়ার শুভ বিরোধ শুরু হয়। ২/৩ দিন আগে শুভ পপির ওই কথিত প্রেমিককে খুঁজতে যায় একটি কোচিং সেন্টারে।
মূলত শাহরিয়ারের চাপে পপি গতকাল দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয় বলে একটি সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পপি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পোঁছানোর খবর পেয়ে শাহরিয়ার তার এক বন্ধুকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় যায়। পরে তারা ঢাকা থেকে সরাসরি ফয়সলেকের লেকসিটির লেকভিউ হোটেলে উঠে।