ভোর থেকে আকাশ মেঘে ঢাকা। বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিক লঘুচাপের কারণে দমকা হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তবে টানা বৃষ্টির আশঙ্কায় দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা যায় আতঙ্কের ছাপ। গুণতে হয় কোটি টাকার লোকসান। একইসঙ্গে বেড়ে যায় পণ্যের দাম। এই বছর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে কি না- তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম জয়নিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার লোকসান গুণতে হয় । সরকার ব্যবসায়ীদের দুঃখ নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, চাক্তাই থেকে কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত ১২টি খাল রয়েছে। বৃষ্টি এবং জোয়ার আসলেই খালগুলো দিয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পানি ঢুকে পড়ে। পানি যেন ঢুকতে না পারে সকল খালের মুখে স্লুইচ গেইট নির্মাণ চলছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ জয়নিউজকে বলেন, জোয়ার আসলে ব্যবসায়ীদের দুঃখের শেষ থাকে না। গুদামে থাকা পণ্যগুলো জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। এই দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকার প্রকল্প গ্রহণও করেছে। এর সুফল কতটুকু পাব, তা বর্ষা আসলে উপলব্ধি করতে পারব। খালের কাজ এখনো শেষ হয়নি। বর্ষার আগে কাজ শেষ করার প্রয়োজন।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ জুড়ে রয়েছে ৬ হাজারের অধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন, গম, চাল ও ডালসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার এটি। টানা বৃষ্টি এবং জোয়ারে এসব পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খাতুনগঞ্জ মশলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান মুরাদ জয়নিউজকে বলেন, জোয়ার বা টানা বৃষ্টিতে আমাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সকালে আবহাওয়া দেখে গুদামের পণ্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দূর করতে সরকার খাল খনন, স্লুইচ গেইট নির্মাণ, বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ নতুন সড়কের ব্যবস্থা করেছে। তবে খাল খননের কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে আতঙ্ক কাটেনি। বর্ষার আগে প্রকল্পর কাজ শেষ হলে ব্যবসায়ীরা সুফল পেতে পারে।