শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না দাবি করে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা কীভাবে সংঘটিত হলো তা তদন্তের পরই বলা যাবে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যে পিস্তলের মুখে যাত্রী ও ক্রুদের জিম্মি করার চেষ্টা করা হয়েছিল সেটি আসল পিস্তল নাকি খেলনা পিস্তল তা জানা যাবে তদন্তের পরে।
এসময় বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে ওই যাত্রীর চেকিংয়ের সময় পিস্তল সাদৃশ্য কোন বস্তু ধরা পড়েনি। পাঁচ দিনের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, ঘটনা পরবর্তী সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সব কাজ করা হয়েছে। আর বিমানটি ইমার্জেন্সি ল্যান্ড করেনি, রুটিন ল্যান্ড করেছে চট্টগ্রামে।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সিসিটিভির ফুটেজে ওই যাত্রীর চেকিংয়ে পিস্তল সাদৃশ্য কোন বস্তু ধরা পড়েনি।”
তিনি বলেন, “আমরা কোন সুইপিং ইনফরমেশন দেব না। তদন্ত শেষেই বিস্তারিত জানানো হবে।” পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী জানান, সেনাবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গুলিবিনিময় হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত নই আমরা। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়হীনতা আছে – এরকমটাও ঠিক না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “গুলিবিনিময় হয়েছে কি-না, তা এখানে বসে বলতে পারব না। ছিনতাই চেষ্টাকারীকে অন্য যাত্রীদের মতই চেক করে এয়ারপোর্টে প্রবেশ করানো হয়। কিন্তু তখন কোন বন্দুক বা বোমা শো করেনি স্ক্যানিং মেশিনে।”
বিফ্রিংয়ের আগে বিমান প্রতিমন্ত্রী, সচিব মো. মুহিবুল হক এবং সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।