গেজেটেড মর্যাদা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড স্কেলে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের জন্য ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এ আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন।
এ রায়ের ফলে প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫৯ জন প্রধান শিক্ষকের ভাগ্য ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন)। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পান।
পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
জয়নিউজ/অভিজিত/বিশু