বন্দরনগরের নান্দনিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে টাইগারপাসের পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন সেভ টাইগারপাস মুভমেন্ট নেতৃবৃন্দ।
এদিন দুপুরে সংগঠনের আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে স্মারকলিপির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গৃহায়ণ মন্ত্রী ও সিডিএ চেয়ারম্যানকেও একই দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে দেশের অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। নগরের লালখান বাজার থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মূল এক্সপ্রেসওয়ের বাইরে র্যাম্প ও লুপসহ এটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা- যানজট সমস্যা পুরোপুরি দূর হবে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য এবং সবুজ প্রাকৃতিক মনোরম পাহাড়িভূমির নাম টাইগারপাস। চট্টগ্রামে অবস্থিত পাহাড় এবং বৃক্ষবেষ্টিত চিরহরিৎ এ এলাকাটি দেখে মুগ্ধ হন না এমন মানুষ বিরল। এ সড়কের মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ভাস্কর্যও রয়েছে। এছাড়া রাস্তার একপাশে রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা। পাহাড়টির প্রাকৃতিক আবেদন এক কথায় অসাধারণ। আমাদের শঙ্কা, এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ করতে গিয়ে এই পাহাড়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে। ব্যস্ত কোলাহলময় শহরের বিপরীতে পুরোদস্তুর অবকাশ কাটানোর এ টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে সেটি অধিকতর পরিবেশসম্মত হবে বলে সচেতনমহল মনে করে। যদি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টাইগারপাসের পর থেকে শুরু হয় তাহলে শহরের মনোরম সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন থাকবে।