রাষ্ট্রবজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আর কোনো আবেদন নেই। তাই এই জোট ছাড়তে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ২০ দলীয় জোট ও দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশার পারদে ভর করে এই জোটে যোগ দেয় বিএনপি। তাই, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ নিজেদের ভরাডুবির পর রাখঢাক না করেই এই জোটের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জোট নেতারা।
এ অবস্থায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বদলে ২০ দলীয় জোট ও দলকে শক্তিশালী করাই বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে একটা সময় ছিল যখন ড. কামাল হোসেন ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের হয়তো দরকার ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে এ প্রয়োজনীয়তা কমছে।’ বর্তমানে বিএনপিকে ২০ দলীয় জোটের প্রতি এবং দলকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেদিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তবে, ড. এমাজউদ্দিনের সঙ্গে একমত নন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনোটাই হবে না যদি আমি নিজে মাঠে না যাই। আর অন্যের ওপর ভরসা করেও কোনো লাভ হবে না।’ তবে, বিএনপি খুব সুবিধা পেয়েছে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে কামাল হোসেনের মতো লোক তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাকে সঙ্গে রাখলে ঐক্যফ্রন্ট বেশি লাভবান হবে।’
বিএনপিকে নিজের আখেরের কথা চিন্তা করতে হবে। তারা মাঠে নামছে না কেন? এটা তাদের নিজেদের ব্যর্থতা বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে ড. কামাল হোসেন নয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে থাকতে চায় বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে আসা। বক্তৃতা ও বিবৃতিতে তাদের সেই পুরানো দিনের কথা আমরা মাঝে মাঝেই শুনতে পাই। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বন্দনা শুনতে পাই। কিন্তু জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার কথা সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় না।’
আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বের বিষয়ে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার হাতে থাকা উচিত বলেও মনে করেন মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
জয়নিউজ/অভিজিত/বিশু