অনেক আলোচনা সমালোচনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সোমবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছিল ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটি অংশ। ডাকসুতে ছাত্রলীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের ‘বিদ্রোহী’ প্যানেল হিসেবে এটি আলোচনায় ছিল।
ওই প্যানেলের সঙ্গে মঙ্গলবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের অবশেষে সমঝোতা হয়েছে৷ ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের এই ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলটি।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহান খানকে ভিপি (সহসভাপতি) ও আমিনুল ইসলামকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) করে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলটি আত্মপ্রকাশ করে।
সমঝোতার পর মঙ্গলবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে সেলফি তোলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন৷ শোভনকে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলের নেতা আমিনুল ইসলাম ও আল মামুনের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কথা বলতে দেখা যায়৷
সেলফি তোলা শেষে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। তাই ডাকসু নির্বাচনে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই।
সোমবার আলাদা প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে আমিনুল জয়নিউজকে বলেন, “কাঙ্ক্ষিত মূল্যায়ন না পাওয়ায় আমাদের মধ্যে একটু অভিমান হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা সন্তুষ্ট। পার্টিতে কাজ করলে আমাদের যথাযথ মূল্যায়ন করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জয়নিউজকে বলেন, “ছাত্রলীগে কোনো বিদ্রোহী গ্রুপ নেই। ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অনেক, কিন্তু ডাকসুতে পদসংখ্যা অল্প৷ এর ফলে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া হয়তো সম্ভব হয়নি৷ এটা নিয়েই একটু মনোমালিন্য হয়েছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই।”