প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর গুরুতর অসুস্থ। তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছেন। স্বজনরা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
শাহ আলমগীরের পরিবারের সদস্যরা জানান, আগে থেকেই তার কিছু জটিল শারীরিক সমস্যা ছিল। এর মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি আরো নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। দ্রুত তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে সেরকম নেই। এই পরিস্থিতিতে শাহ আলমগীরের রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, পিআইবির প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও শাহ আলমগীর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই -এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা
টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শিশুকল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাঁদের হাট’ -এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬’, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।