মাটির তৈরি ইটের বদলে বালি ও সিমেন্টের তৈরি ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারার ক্ষমতা রেখে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ সংসদে অনুমোদন পেয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন মঙ্গলবার বিলটি প্রস্তাব করলে জাতীয় সংসদে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়, মাটির ব্যবহার কমাতে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারবে।
আইনে ব্লকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ব্লক বলতে বালি, সিমেন্ট, ফ্ল্যাই অ্যাশ বা অন্য কোনো উপাদান, মাটি ছাড়া পুড়িয়ে প্রস্তুত করা নির্মাণ সামগ্রী। এ আইন জারি হলে সরকার প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে ইটভাটার জায়গার পরিমাণ ও নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটার সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
বিদ্যমান আইনে আছে, অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। আমদানি করেও তা ব্যবহার করা যাবে না।
সংসদে পাস হওয়া সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, মাটির ব্যবহার কমাতে সরকার নির্দিষ্ট হারে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং ব্লক প্রস্তুতের নির্দেশনা জারি করতে পারবে। এজন্য সময়ও বেঁধে দিতে পারবে। এছাড়া আইনে গ্যাসীয় নিঃসরণ ও তরল বর্জ্যের নির্গমন মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইনের আওতায় বিভিন্ন অপরাধে জরিমানার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনের সঙ্গে ইট প্রস্তুতের মাটির উৎস উল্লেখ করে হলফনামা দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এই আইন প্রণয়ন হলে কৃষির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ কমবে।