দিনভর দুর্ভোগের পর নগরে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে নগরের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস ছিল না। পরে শুক্রবার দুপুরে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কম থাকায় নগরে এই গ্যাস সংকট দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, আগ্রাবাদ, মোল্লাপাড়া, মুহুরীপাড়া, রংগীপাড়া, বেপারীপাড়া, হালিশহর, নয়াবাজার, আন্দরকিল্লা, জামালখান, কাজীর দেউরিসহ নগরের একটি বড় অংশের বাসাবাড়িতে ছিল না গ্যাস। এতে বাসায় রান্না করতে না পেরে হোটেলে গিয়ে অনেকে দুপুরের খাবার সেরে নেন।
নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় হোটেলে পরিবার নিয়ে খেতে আসা সেলিম জয়নিউজকে বলেন, বাসায় গ্যাস নেই, তাই পরিবার নিয়ে খেতে আসলাম। দুপুরের খাবার খেতে হোটেলে বিল গুণতে হলো হাজার টাকা। এভাবে যদি প্রতিদিন গ্যাস সংকট হয় তাহলেতো বড় বিপদে পড়ে যাব।
এদিকে গ্যাস না থাকার কারণে অনেক পরিবারের গৃহিণীরা মাটির চুলায় রান্নার কাজ চালাতে বাধ্য হন।
মোল্লাপাড়া এলাকার গৃহিণী চম্পা বলেন, রাত থেকে বাসায় গ্যাস নেই। নিরুপায় হয়ে মাটির চুলা কিনে রান্না করছি।
গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়েছে নগরে গ্যাস ফিলিং স্টেশনগুলোতেও। আকবরশাহ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনকে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কম থাকায় নগরে গ্যাসের চাপ কম ছিল বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
এ ব্যাপারে কেজিডিসিএলের কাস্টমার মেনটেইনেন্স ম্যানেজার অনুপম দত্ত জয়নিউজকে বলেন, এলএনজির সরবরাহ কম থাকায় নগরে গ্যাসের চাপ কম ছিল। দুপুর আড়াইটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।