লোহাগাড়ার রাজঘাটা মাদ্রাসার পুকুরে ডুবে মারা যায় এক ছাত্র। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, গোসল করতে পুকুরে নামলে জিন চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলেছে। মরদেহের কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে রহস্য। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার (১ মার্চ) ভোররাতে ঘুম থেকে রায়হান মাদ্রাসার পুকুরে নামে। কিন্তু সে দীর্ঘক্ষণ পুকুর থেকে ফিরে না আসায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলা হয়। এ সময় লোকজন পুকুরের মাঝখান থেকে জাল দিয়ে তার মরদেহ তুলে আনে। ঘটনাটি পরে পরিবারকে জানায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুল ওয়াহেদ। কিন্তু ঘটনার দিন বিকেলে কোনো আইনি ব্যবস্থা ছাড়াই রায়হানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রায়হান উপজেলার পদুয়ার মীরপাড়ার মো. সেলিমের ছেলে। সে রাজঘাটা হোসাইনইয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় একটি শর্ট কোর্সের ছাত্র ছিল।
রায়হানের বাবা রিকশাচালক মো. সেলিম বলেন, আমি গরীব মানুষ। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত হলে আমার সন্তানের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারবো।
তবে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হাবিবুল ওয়াহেদ দাবি, স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি ব্যবস্থা ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। আমাদের ধারনা ভোরে গোসল করতে পুকুরে নামার পর তাকে জিনে মেরে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।