ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) একটি সুখোই-৩০ এমকেআই জঙ্গি বিমান রাজস্থানের বিকানের শহরের কাছে ড্রোনটিকে গুলি করে নামায় বলে কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে আইএএফ দ্বিতীয় পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করলো বলে খবরে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ড্রোনটি ভারতীয় রাডারে ধরা পড়ার পর সুখোই-৩০এমকেআই জঙ্গি বিমান আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এটিকে ভূপাতিত করে।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চলে আরেকটি পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছিল এবং সেটি ভূপাতিত করতে ইসরায়েলের নকশা করা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্পাইডার ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।
কম খরচ, তুলনামূলক কম ওজন ও সহজে পরিচালনা করা যায় বলে সীমান্ত এলাকায় পরস্পরের ওপর নজরদারী করতে ভারত ও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করে থাকে। দেশ দুটির মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাজস্থানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার এ
খবর এলো। এ হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
এ ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারত। বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে হামলাটি চালানো হয়েছে বলে দাবি করে নয়া দিল্লি।
এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তান প্রায় সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলা বিনিময়ের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপর আকাশে দুপক্ষের মধ্যে বিমান যুদ্ধও হয়।