বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন। সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কসংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে বুধবার সকাল থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই রুটে সাতটি জাহাজের মধ্যে বর্তমানে চারটি জাহাজ চলাচল করছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়ে পর্যটকরা। তবে তারা নিরাপদে রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হবে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান জয়নিউজকে বলেন, ‘সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনও জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। যেসব পর্যটকরা টিকেট করেছিল তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে যেসব পর্যটকরা আটকা পড়েছেন, তারা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য সেখানকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির ফলে কক্সবাজারের উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ কারণে বঙ্গোপসাগর ও নাফনদী উত্তাল আছে এবং মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নৌযান কূল ছেড়ে না যাওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’। বৃহস্পতিবারও এ সতর্কসংকেত বলবৎ থাকতে পারে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দ্বীপে ভ্রমণে এসে দুই হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। বৈরি আবহাওয়ায় সমুদ্রে কোনও পর্যটক যেন গোসল করতে না নামেন, সে বিষয়ে বিচ কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।’
এছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে সেজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।