সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটার দায়ে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ উঠেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের আনোয়ারা জুট মিলের পাশে জঙ্গল কাটগড় এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে জরিমানা করার ক্ষেত্রে এ পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাহাড়ের ঢাল কেটে ২১ হাজার ৭৫০ বর্গফুট রাস্তা নির্মাণ করে। অন্যদিকে কেএসআরএম ৫ হাজার ৫৪০ বর্গফুট পাহাড় কাটে।
অথচ কেএসআরএমকে যেখানে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, সেখানে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা!
পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, প্রতি বর্গফুটে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ৫০ টাকা করে ধরলেও ২১ হাজার ৭৫০ বর্গফুটে জরিমানা আসে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজকে তিন’শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে শুধু ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন জয়নিউজকে বলেন, পিএইচপিকে জরিমানা কম করার কারণ হচ্ছে তারা সেখানে একটি বাগান করেছে। ওই বাগানের আয়তন ১১৫ একর। আবার বাগানের গাছপালা পরিচর্যা ও নিরাপত্তার জন্য ২০ থেকে ৩০ জন কর্মচারীকে যাতায়াত করতে হয়। এসব বিবেচনা করে পিএইচপিকে কম জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য চোখ রাখুন জয়নিউজে।