সম্প্রতি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিয়েছে ৮১ তাজা প্রাণ। এখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অনেকে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধ কেমিক্যালের ব্যবসা।
শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রামেও জনবসতিতে কেমিক্যাল ব্যবসা চলছে অবাধে। আবাসিক ভবনের নিচেই রয়েছে কেমিক্যালের গুদাম।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে নগরের আছদগঞ্জ এলাকায় কেমিক্যালের দোকান ও গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে অভিযানের খবর পেয়ে অধিকাংশ দোকান আগেভাগেই বন্ধ করে দেয় দোকান মালিকরা। যেগুলো খোলা ছিল সেগুলোতে রয়েছে কেমিক্যালভর্তি বিভিন্ন বোতল ও ড্রাম। এ সময় দোকানের মালিকদের শীঘ্রই কেমিক্যালের ড্রাম ও বোতল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান জয়নিউজকে বলেন, এখানে আমরা বেশকিছু কেমিক্যালের গুদাম এবং দোকান দেখতে পেয়েছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাদেরকে কেমিক্যাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত কাউকে জরিমানা বা মালামাল জব্দ করা হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আছদগঞ্জে প্রায় ৪০-৫০টির মতো কেমিক্যালের দোকান রয়েছে। অধিকাংশ ভবনের সামনের অংশে কেমিক্যালের ড্রামভর্তি দোকান বা গুদাম আর পেছনের অংশে বসবাস করছে অনেক পরিবার। সরুপথের ঘুপচি গলিতে যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তবে অবস্থা হবে ঢাকার নিমতলী বা চকবাজারের মতো।
এমনি এক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাসকারী মো. রফিকুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, কেমিক্যাল গুদাম থাকা সত্ত্বেও পরিবার নিয়ে থাকছি। সবসময় শঙ্কায় থাকি, কখন দুর্ঘটনা ঘটে।