সীতাকুণ্ডের ছলিমপুরে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে ডাকাতদের গুলিতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেনসহ ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক ও রকেট লঞ্চারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আহতদের সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নগরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মার্চ) রাত ১টায় উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ছলিমপুর ফকিরহাট কাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পায় পুলিশ। রাত ১টার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার সার্কেল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) শম্পা রাণী সাহা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলওয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের তিনটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযানে চালায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
এসময় ডাকাত দলের হামলায় আহত হন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আফজাল হোসেন, জাব্বারুল ইসলাম (অপারেশন), সুমন বনিক (ইনটেলিজেন্স), এসআই সুজায়েত হোসেন, হারুন উর রশীদ, পিএসআই মো. নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই শহীদউল্লাহ, কনস্টেবল মাহফুজ ও আরাফাত।
ঘটনাস্থল থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন সন্দ্বীপ থানার মুছাপুরের আবুল কাসেমের ছেলে মো. সোহাগ (৩২), সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ ছলিমপুর কাজীপাড়ার শফিউল আলমের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩১), একই এলাকার উত্তর ফকিরপাড়ার ফকির আহমদের ছেলে কামরুল হাসান (২৬) ও কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ছোট তুলাগাঁও মীর হাজীর বাড়ির নুরুল হকের ছেলে রবিউল হাসান জুয়েল (২২)।
আটক ডাকাত দলের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি রকেট লঞ্চার, একটি বিদেশি একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি টু-টু বোর রাইফেল, একটি দেশিয় তৈরি এলজি, ৫টি রকেট লঞ্চার সেল, ১৪টি কার্তুজ, একটি কাটার, হাতুড়ি, লোহার শাবল ও লোহার রডসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রাণী সাহা জয়নিউজকে বলেন, আটককৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা হামলা চালালে পুলিশ একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে থানার ওসি ও তিন ইন্সপেক্টরসহ ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।