বান্দরবানে বোমাং সার্কেলের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজপূন্যাহ উৎসব শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ঐতিহ্যবাহী রাজকীয় পোশাক পরে রাজবাড়ি থেকে রাজকীয় বাঁশির সুরে স্থানীয় রাজারমাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে নেমে আসেন বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ ১৭তম রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী।
বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার ৯৫টি মৌজা এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দুটি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, ৮ শতাধিকেরও বেশি কারবারী, রোয়াজারা রাজাকে কুর্নিশ করে জুমের বাৎসরিক খাজনা ও উপঢৌকন রাজার হাতে তুলে দিবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিনুর এমরান, জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদারসহ সরকারি-বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বোমাং পরিবার জানায়, তিন দিনব্যাপী জুমের বাৎসরিক খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব (পইংজ্রা) শুরু হয়েছে। এবারের রাজপূণ্যাহ হচ্ছে বংশ পরম্পরায় ১৪১তম রাজপূন্যাহ উৎসব। ১৮৭৫ সালে পঞ্চম বোমাং রাজা সাক হ্ন ঞোর আমল থেকে বংশ পরম্পরায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব হয়ে আসছে। তবে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবার রাজপূণ্যাহ মেলা অনুমতি না দেওয়ায় মেলা করা যায়নি। তবে জুমের খাজনা আদায় অনুষ্ঠান চলবে তিনদিন। এদিকে মেলার অনুমতি না দেওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে মেলায় স্টল এবং দোকান-পাট বসতে আসা ব্যবসায়ীরা ফিরে গেছে।
প্রসঙ্গত: বংশ পরম্পরায় বোমাং রাজ প্রথা অনুযায়ী রাজ পরিবারের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ রাজা নির্বাচিত হন। ঢাক, ঢোল পিটিয়ে রাজকীয় পদ্ধতিতে দূর্গমাঞ্চলগুলোতেও পূণ্যাহ মেলার বার্তা পৌছিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে।