দেশে এখন ২০ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তবে খাত সংশ্লিষ্ট পেশায় যুক্ত আছেন ১৫ শতাংশ নারী।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে জরিপ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সোশ্যাল গুড কোম্পানি প্রেনিউর ল্যাব। এ জন্য দেশের ১০৭টি বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উপর জরিপটি চালায় প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুগল অ্যানালিটিকস বিশ্লেষণ করে প্রেনিউর ল্যাব জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২৪ বয়েসীরাই সবচেয়ে বেশি ৪৬ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩৪ বয়েসীরা ৪২ শতাংশ, ৩৫ থেকে ৪৫ এবং তারও বেশি বয়েসী ব্যবহারকারী মধ্যে চার শতাংশ। এছাড়াও ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়েসী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে ৮ শতাংশ।
দেশে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও জরিপে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিওকে বাদ রাখা হয়েছে।
প্রেনিউর ল্যাব বলছে, এসব নারীদের বেশিরভাগই আবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফ নিজামী বলেন, আমরা জরিপটি চালাতে গিয়ে বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে। প্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করেছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার, মালিকানা বা পরিচালনা বোর্ডে কতজন নারী রয়েছেন তার হিসাব জানতে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান তা জানায়নি বলে উঠে এসেছে।
তিনি জানান, দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তির সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকা থেকে নারীদের নিয়ে কিছু তথ্য নেওয়া হয়। সেখানে ৬৮৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৩৩টির প্রতিনিধিত্ব করে। এই হারটি শতকরা হিসেবে মাত্র ৫ শতাংশ।
আরিফ নিজামী আরো বলেন, প্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে লিঙ্গ সমতায় নজর দিতে হবে। এটা নারীদের এক ধরনের অধিকার। সেটাও বুঝতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।