বাঁশখালীর কাথারিয়া ছবদর আলী ফোরকানিয়া ও নুরানী মাদ্রাসার সভাপতির পদ দখল নিয়ে দুইপক্ষের প্রকাশ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় কাথারিয়া ইউনিয়নের মধ্যম কাথারিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় দুই পক্ষ অন্ততঃ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং পরস্পর দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হচ্ছেন মোরশেদুল আলম (৩৫), একরামুল হক (২৫), শহীদুল আলম (৪০), সেলিমুল হক (১৮) এবং মফজ্জল আহমদ (৫৮)।
মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ইবনে আমিন বলেন, মাদ্রাসাটি পরিচালনায় জটিলতা দেখা দেওয়ায় গ্রামবাসীর অনুরোধে আমি সভাপতি হয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ করছি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে নুরুল ইসলামের ছেলেরা মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছে এবং মাদ্রাসার সম্পত্তি নিজেদের মত ব্যবহার করছে। আমি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা করিনি। নিজেরা হামলা করে আমাদের নাম দিচ্ছে।
অন্যদিকে অপর পক্ষের মো. রিয়াজুল ইসলাম জিসান বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা সম্পত্তি দান করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই হিসেবে আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার সভাপতি। সভাপতির পদ কেড়ে নিয়ে ইবনে আমিন আমার বাবা ও আমাদের নানাভাবে লাঞ্ছিত ও হামলা করে আসছে।
কাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, প্রশাসনের উচিত বিষয়টি কঠোর হস্তে দমন করা। এভাবে চলতে থাকলে কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে আসবে না।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।