স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারিভাবে এখনও ভাতা পাননি মুক্তিযোদ্ধা মেঘনাদ দে (৭৫)। সরকারি তালিকাভুক্ত হতে না পেরে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি।
লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গরকুল এলাকার এই মুক্তিযোদ্ধা সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য শেষ সম্বলটুকু পর্যন্ত বন্ধক রেখেছিলেন।
মেঘনাদ দে জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দেমাগিরি ক্যাম্পে গ্রেনেড ও রাইফেলের ওপর ট্রেনিং নেন তিনি। ট্রেনিং শেষে দেশে ফিরে আসেন গ্রুপ লিডার সামশুল ইসলামের নেতৃত্বে। রাঙামাটিতে পাকিস্তানি সৈন্যের ক্যাম্প সংলগ্ন ব্রীজটি ধ্বংস করেন। পাগল সেজে পাকিস্তানি সৈন্যের কাছে খাবার চেয়েছেন এবং পরবর্তীতে গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যা করেছেন তাদের। স্বাধীনতার তিনদিন পরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানির প্রেরিত সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন থানা কমান্ডার আবু ছালেহর কাছ থেকে।
লোহাগাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আখতার আহমদ সিকদার জয়নিউজকে জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি মেঘনাদকে ’ক’তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।
লোহাগাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আসলাম জয়নিউজকে বলেন, লোহাগাড়া উপজেলার বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।