লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিরোধ প্রকাশ্যে। দীর্ঘদিন একইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরলেও, বর্তমানে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’জন দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ হয়ে পড়েছে দ্বিধাবিভক্ত। তৃণমূল নেতারা হয়েছেন হতাশ। ভোটের ফলাফলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জানা যায় , লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী। এ সময় জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল নৌকা প্রতীক চেয়ে জোর তৎপরতা শুরু করেন। নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। গত ১৫ জানুয়ারি তিনি এলডিপি থেকে স্থানীয় সাংসদ ড. আবু রেজা নদভীর হাত ধরে নৌকায় যোগ দেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র জিয়াউল হক চৌধুরীর নাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠায়। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জোর তৎপরতা শুরু করে এবং খোরশেদ আলম চৌধুরীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন হিরু বলেন , উপজেলা নির্বাচনে খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রার্থী হচ্ছেন সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বাবুল ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন। তাই আমরা জিয়াউল হক চৌধুরীকে সমর্থন দিচ্ছি।
স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম গনি সম্রাট বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষেই আমাদের অবস্থান। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার কামাল বলেন , কোনো আওয়ামী লীগ নেতা বা কর্মীর নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ করে থাকে সাংগঠনিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জিয়াউল হক চৌধুরী বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অনেকেই আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ যদি নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করে, আমরা অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব।