বাসি খাবার মানে তো শরীরে নানা অসুখের বাসা বাঁধা। ফ্রিজে রেখে দিনের পর দিন একই খাবার খেলে তাও অসুখের কারণ হতে পারে এমনটাই ধারণা সবার। রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেক বাসায়ই। আর হিসেবমতো গুনেগুনে রুটি কে-ইবা তৈরি করে! দু-একটা কম-বেশি তো হয়ই। আর তাতেই অতিরিক্ত খাবারটুকু রয়ে যায়। বেশিরভাগ সময়েই আমরা বাসি রুটি ফেলে দেই। কিন্তু নিচের উপকারিতগুলো জানলে আর ফেলবেন না-
শক্তি জোগায়
সকালে একটু আগেভাগে বাসা থেকে বের হতে হলে কিছুই মুখে না দিয়ে বের হয়ে পড়েন অনেকেই। খাবার তৈরি করার সময় না থাকলে দেখুন আগের রাতের রুটি রয়ে গেছে কিনা। থাকলে সেই রুটি নিয়ে এক গ্লাস দুধ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন এতে পেট ভর্তিও থাকবে, আবার আপনি অনেক ক্ষণ ধরে এনার্জিও পাবেন।
হজমশক্তি বাড়ায়
প্রতিদিন নানা ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা লেগেই থাকে আমাদের। বাসি রুটি খেলে এই হজমের সমস্যার সমাধান হয়। কারণ রুটিতে থাকা ফাইবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। তাই এবার থেকে বাসি রুটি না ফেলে সকালে খেয়ে নিন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
বাসি রুটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ঠান্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে শরীরের সোডিয়াম বা লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর তাই রক্তচাপও ঠিক থাকে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি
বাসি রুটি আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। কারণ বাসি রুটির মধ্যে থাকা জিঙ্ক শরীরের থেকে টক্সিন দূর করে। সেইসঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে থাকে। তাই ত্বকও হয়ে ওঠে সুন্দর।
ওজন কমায়
বাসি রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে আমাদের ক্ষুধা কম পায়। আর ক্ষুধা কম পায় বলে আমরা কম খাই আর আমাদের শরীরের ওজন আর বাড়ে না। তাই ওজন কমাতে চাইলে বাসি রুটি খান।
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়
বাসি রুটির ফাইবার হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া কারডিওভাসকুলার নানা রোগও কম হয়। তাই সার্বিকভাবে হার্ট ভালো থাকে।
অ্যাজমার প্রকোপ কমায়
বাসি রুটির মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আর ভিটামিন ই অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ অনেক কমায়। অ্যাজমার সমস্যা থাকলে তাই বাসি রুটি খেয়ে দেখতে পারেন।
শরীর শীতল রাখে
গরমে আপনার শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে আপনি বাসি রুটিকে সঙ্গী করতেই পারেন। বাসি রুটি সুন্দরভাবে আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে।