ভুয়া ভোট, প্রার্থীদের মারধর ও ফেইক লাইন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সবগুলো প্যানেল।
সেইসঙ্গে মঙ্গলবার (১২ মার্চ)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের পাশাপাশি পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় ৫টি প্যানেল।
দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের পর মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবন এলাকায় যায় ভোট বর্জনকারী ছাত্ররা। এ সময় ভিসির বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে নতুন ভোটের দাবি জানায় তারা। সেইসঙ্গে ভিসি পদত্যাগও দাবি করা হয়।
মৈত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টকে অপসারণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই সিল দেয়া বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়ার ঘটনায় হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টকে সরিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শবনম জাহানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর গায়ে হাত
ভোটের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ছাত্রলীগের ধাওয়ার শিকার হন ডাকসু নির্বাচনের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী। সকাল ১০টার পর মহসীন হলের ভোট গ্রহণ দেখতে যান লিটন নন্দী।
এছাড়াও ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন প্রার্থী অরনী সেমন্তী খান ও শ্রবণা শফিক দীপ্তি, নুরুল হক নূরু ও ছাত্রদলের দলের জিএস প্রার্থী অনিক।
হাসপাতালে ভর্তি নূর
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী নূরুল হক নুরের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে। দুপর সোয়া ১২টার দিকে রোকেয়া হলের ভেতর নূরের ওপর এই হামলা হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোট বর্জন ও আন্দোলনের ডাক
দুপুর ১টার পর ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ প্যানেল ছাড়া সবকটি প্যানেল। ভোট বর্জনের পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের পাশাপাশি পরীক্ষা ও ক্লাশ বর্জনের ডাক দেয় ছাত্রারা।