ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অংশ নিতে হলে ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ভৌগলিক কারণে চট্টগ্রাম ভালো অবস্থানে আছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম আগামীতে দেশের ডিজিটাল বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নগরের আগ্রাবাদে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক কাজের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ডিজিটাল যুগে পেছনে পড়ে থাকতে পারে না। এজন্য চট্টগ্রামে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে কোথায় হাই-টেক পার্ক হবে বুঝতে পারছিলাম না। মেয়র ম্যাজিকের মতো জায়গা দেখালেন। এতে আমি অভিভূত। কোন প্রশ্ন, শর্ত ও বিধি বিধান ছাড়া একবাক্যে জায়গা দিয়ে দিলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত। মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। আগামী ৫বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, সিঙ্গাপুর মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সহসভাপতি আলি নেওয়াজ চৌধুরী, মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আহমদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান চৌধুরী।
হাই-টেক পার্ক সূত্রে জানা যায়, ভবনটি হবে ১১ তলা। এরমধ্যে ৫ তলা পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানপাট থাকবে। পার্কের জন্য মার্কেটটি ৬-১১তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। এরজন্য ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা। যার পুরো টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাংক। বাস্তবায়নে থাকবে বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ পার্কে সর্বমোট ফ্লোরের আয়তন হবে ১ লক্ষ ৮ হাজার বর্গফুট। পার্কের সুযোগ সুবিধার মধ্যে প্রতি ফ্লোরে ন্যূনতম ২০ হাজার বর্গফুট আইটি সম্বলিত স্পেস, আরও থাকবে প্রতি ফ্লোরে পুরুষ, মহিলাও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা টয়লেট ব্লক। এছাড়া টপ ফ্লোরে ৫শত জন ধারণ ক্ষমতার ১টি কনভেনশন হল, ৬ষ্ঠ তলায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ১টি মসজিদ থাকবে। চলতি বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ পার্কে প্রায় ২৫শ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই একটি চুক্তি হয়। চুক্তিমতে প্রথম ৩০ বছর এই পার্ক থেকে ৫০%-৫০% রাজস্ব সিটি করপোরেশন ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ভাগাভাগি করে নিবে। পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি নবায়ন হতে পারে।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে একদিকে যেমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে, তেমনি হাই-টেক পার্ক হবে তাদের কর্মসংস্থান। এছাড়া হাই-টেক পার্কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তৈরি হবে দেশীয় উদ্যোক্তা। প্রকল্পের ড্রয়িং ডিজাইনিং এবং কনসালটেন্সি করেন ত্রিমাত্রিক আর্কিটেক্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।