বাংলাদেশ আগামী মাসে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ জাতিসংঘ দূত তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই দ্বীপ বসবাসের উপযুক্ত নয় এবং এতে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশ বলছে, ভাসানচরে কিছু রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হলে তা কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে জনসংখ্যার চাপ কমাবে। এসব শিবিরে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে এরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
রোহিঙ্গাদের ওই দ্বীপে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করে কিছু মানবাধিকার গ্রুপ বলছে যে এলাকাটি সাইক্লোনপ্রবণ।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি বলেন, কয়েকটি বিষয় আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় হলো, দ্বীপটি আসলেই বসবাসের উপযুক্ত কি না। গত জানুয়ারিতে ভাসানচর পরিদর্শন করেন লি।
তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেন, স্থানান্তরের দুর্বল পরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট উদ্বাস্তুদের মতামত ছাড়া তাদেরকে স্থানান্তর করা হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা চলছে বলে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন।
জয়নিউজ/অভিজিত/আরসি