নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী গৃহস্থালি পর্যায়ে দুই চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করার কথা বলা হচ্ছে। আর এক বার্নারে ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা।
শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে। এক অর্থবছরের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ।
কি কারণে আবার গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় সরকার, এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এই যে বাড়াচ্ছি তার জন্য যে আমাদের লাভ হবে তাতো না।
তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের যে গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণ করার জন্য আমরা কস্টলি গ্যাস এলএনজি নিয়ে আসছি। এই এলএনজি আনার জন্য বাড়তি একটি কস্ট পড়ছে। মোস্টলি শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে এটা হবে। হাউজহোল্ডে খুবই কম। আমরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। তারা খুব পজিটিভ। তারা বলছে, আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চাই।
এখন সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি দু’পক্ষই তাদের কাজের মূল্যহার বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
অবশ্য কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেছেন, একবার মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাসের মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।