শিশুকাল থেকে গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে দেশের মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদ্রাসায় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। দেশের ২২ হাজার ৯৬১ বিদ্যালয়ে এই ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠন করা হলেও, মাধ্যমিক স্তরে ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা গঠনে এ নির্বাচন হচ্ছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮টি পদের জন্য ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার রয়েছেন ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৮ জন।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের ওপর রয়েছে। শিক্ষক, পরিচালনা পর্যদ ও অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীই ভোটার। ভোটার তালিকাভুক্ত যে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পেরেছেন। প্রত্যেক ভোটার ৮টি করে ভোট দিতে পারবেন।
প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচটি শ্রেণি (ষষ্ঠ-দশম) থেকে পাঁচজন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিন শ্রেণির তিনজনকে নিয়ে এক বছরের জন্য ৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।
ক্যাবিনেটের কর্মপরিধিতে থাকবে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য ক্রীড়া সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি, বিভিন্ন দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠকে বসবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা।
এই বৈঠকে ক্যাবিনেট প্রধান নিজেদের মধ্যে কর্মবণ্টন, সহযোগী সদস্য মনোনয়ন এবং সারাবছরের কর্মপরিকল্পনা করবে। স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটকে মাসে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে। প্রতি ছয় মাস পর সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের সাধারণ সভা হবে।
নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সভায় তাদের কাজের জন্য একক ও যৌথভাবে দায়বদ্ধ থাকবে। যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বা অপারগ হবেন, তারা পদত্যাগ করবেন এবং পরবর্তী অধিক ভোটপ্রাপ্ত সদস্যকে ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।