উৎসবের দেশ বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব রূপ দেয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলায়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।
এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিভাবে কোরবানি করবেন জানতে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির ১০ সিনিয়র নেতার সঙ্গে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রতিবার জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে। পরে নগরের মেহেদিবাগের বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এবার পরিস্থিতি তাঁর জন্য একটু ভিন্ন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালে তাঁর অডিও রেকর্ড প্রচারের পর দুটি মামলা হয়। দুটি মামলার কোনোটিতেই তাঁর জামিন নেই। তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জয়নিউজকে বলেন, এবার তিনি ঢাকায় নিজ বাড়িতে কোরবানি করবেন।
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রতিবারের মতো এবারও জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের প্রথম জামায়াতে নামাজ আদায় করবেন। তারপর ভিআইপি টাওয়ারস্থ বাসভবনে কোরবানি শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে নামাজ শেষে চলে যাবেন হাটহাজারী মীরের খীল গ্রামের বাড়িতে। সেখানে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করে নগরের চট্টেশ^রীর ডালিয়াকুঞ্জে নেতাকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এদিকে কারাগারেই ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী। দুই বছর ধরে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাঁশখালীর নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করবেন। সকালে জমিয়তুল ফপলাহ মসজিদে নামাজ শেষে বাঁশখালী চলে যাবেন। সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম নোয়াখালীর নিজবাড়িতে ঈদ উদযাপন করবেন। ঈদের দু’দিন পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরবেন এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে নামাজ শেষে বাকলিয়ার বাসভবনে কোরবানি শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। প্রতিবারের মতো এবারো তিনি নেতাকর্মীদের জন্য রেখেছেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের ব্যবস্থা।
নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে নামাজ শেষে নগরের চান্দগাঁওয়ের বাসভবনে কোরবানি দিবেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন ঈদের পরনদিন।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জানিয়েছেন, তিনি জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের নামাজ শেষে নগরের এনায়েত বাজারের বাসভবনে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন।