সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ৬০ গ্রামে মানুষ আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারী এসব গ্রামের বাসিন্দারা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে পশু কোরবানি দিয়েছেন তারা।
প্রচলিত নিয়মের আগে ঈদ উদযাপনকারীরা অধিকাংশই দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সকলেই সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের মুরিদ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ও ১০টায় মির্জারখীল দরবার শরীফে দুই দফা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লি সাজ্জাদানশীন মাওলানা আবদুল হামিদ শাহর ইমামতিতে মীর্জাখীল দরবার শরিফে সকাল ৯টায় ও সাজ্জাদানশীন মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে একই দরবারে সকাল ১০টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, হারলা, সাতবাড়িয়া, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গ–ামারার মিরিঞ্জিরিতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মাইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগর, মনেয়াবাদ গ্রামে ঈদ পালিত হবে। এছাড়াও সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, মিরসরাই, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, উখিয়া, বান্দরবান, মহেশখালী, আলীকদম, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, কুতুবপুর, ফেনী, কুমিল্লাসহ, নারায়নগঞ্জে ১টি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩টি, বাবুগঞ্জে ৪টি, হিজলায় ২টি, মেহেন্দিগঞ্জে ২টি, বন্দর থানা সাহেবের হাটে ২টি, বাকেরগঞ্জে ১টি, ঝালকাঠিতে ১টি, বাউফলে ১০টি, গলাচিপায় ১টি, রাঙ্গাবালীতে ৯টি, কলাপাড়ায় ১১টি ও বরগুনায় ১টি পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়পূর্বক ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে বলে দরবার শরীফের খাদেম মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
এছাড়াও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক একই সময়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুশ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহ.) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানি পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ম পালন করে আসছেন।