নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর এই সিদ্ধান্তে আসে দুই দেশের ক্রিকেট র্বোড । শনিবার (১৬ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেইসঙ্গে আতঙ্কগ্রস্ত ক্রিকেটারদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছেন।
নান্নু বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি খেলছি না। বাতিল করেছি। ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসছে।’
ক্রাইস্টচার্চের আল নুর এবং লিনউড এভের লিনউড মসজিদে বন্ধুকধারীরা হামলা করেছে। এতে ২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এ পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ড পুলিশ সবাইকে নিজ বাসায় নিরাপদে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে। মসজিদে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সব স্কুল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এ দিনটিকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এর আগে, নিউজিল্যান্ডে বড় রকমের বিপদের কবল থেকে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শুক্রবার তারা ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে অনুশীলন করছিলেন। দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করতে মাঠের পাশেই আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন। ওই মসজিদেই এক বন্দুকধারী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। মুশফিক-তামিমরা অবশ্য সেখান থেকে নিরাপদে সরে আসতে সক্ষম হন।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, লিটন দাস ও নাইম হাসান ছাড়া সবাই শেষ টেস্ট সামনে রেখে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা ওই মসজিদে জুমার আদায় করতে যান। মসজিদে প্রবেশের সময় স্থানীয় একজন তাদের ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ কথা শোনামাত্র ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ক্রিকেটাররা টিম হোটেলে ফিরে আসেন।
এ ঘটনার পর জাতীয় ক্রিকেট দলের তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম টুইট করে জানিয়েছেন, তারা এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন। তবে সবাই নিরাপদে আছেন।