নগরের ফিরিঙ্গীবাজার ফলের আড়তে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে করে অল্প পরিমাণে আসছে তরমুজ। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দামও বেশি। লোকসানের ভয়ে তাই বেশিরভাগ আড়তে নেই তরমুজ। এ নিয়ে কিছুটা হতাশ ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমের শুরুতে প্রবল শিলাবৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতেই। তাই এবার তরমুজ চাষ করে চাষীদের মাথায় হাত।
ফিরিঙ্গীবাজার ফলের আড়তে শুক্রবার (১৫ মার্চ) ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আড়তে তরমুজ তেমন একটা নেই। দাম বেশি হওয়ায় আড়তদাররা লোকসানের ভয়ে তরমুজ মজুত করছেন না। তবে কয়েকটি আড়তে দেখা গেছে স্তূপ করে রাখা হয়েছে তরমুজ।
জানা গেছে, প্রতিবছর মৌসুমে নোয়াখালীর সুর্বণচর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরিঙ্গীবাজারে হাজার হাজার তরমুজ আসে। সে তুলনায় এবার সরবরাহ একেবারেই কম।
সাতকানিয়া থেকে তরমুজ কিনতে আসা এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর ফলন ভালো হয়নি বলে ডাবল দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্যবসা তো করতে হবে। দাম বেশির কারণটা ক্রেতাদের বোঝানো যায় না।
এ ব্যাপারে আড়তদার আলম জয়নিউজকে বলেন, তরমুজ ব্যবসা একবারে মন্দা। বড় সাইজের একশ তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়।
মৌসুমের আগেভাগে চাষিদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে ফিরিঙ্গীবাজারের আড়তদাররা। সে অনুযায়ী আড়তে তরমুজ আসছে না। তাই বেশিরভাগ আড়তে এখনও তরমুজ আসেনি বলে জানান তিনি।