বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়কের পাশে আদর্শ গ্রামে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫টি ট্রাক দিয়ে ২০০ ট্রাক মাটি বিক্রয় হচ্ছে। মাত্র ক’দিন আগে পাহাড় কাটার কারণে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কয়েকজনকে জরিমানা করে প্রশাসন।
রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফোন পেয়ে বাঁশখালী ইকোপার্ক কর্মকর্তা পাহাড় কাটায় বাধা দিলেও, বাধা উপেক্ষা করে পাহাড় কাটা চলছে। বেপরোয়া পাহাড় কাটার কারণে সরকারিভাবে স্থাপন করা আদর্শ গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতে একমাত্র রাস্তাটিও ঝুঁকিতে পড়েছে।
আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম, জসিম উদ্দিনসহ অনেকে অভিযোগ করেন, বেপরোয়া পাহাড় কাটা ও ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। রাস্তার কিনারা ঘেঁষে মাটি কাটায় আসন্ন বর্ষায় পুরো রাস্তা ধসে পড়বে। কেউ প্রতিবাদ করলে মাটিখেকোরা নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তারা আরো জানান, কিছুদিন আগে অভিযোগ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১টি ট্রাক ধরে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই আবারো পাহাড় কাটছে একটি চক্র। পাহাড় না কাটার মুচলেকা দিয়েও তা মানছে না তারা।
স্থানীয় মৌলভী জাকের, নুরুল ইসমাইল ও ইসমাইল নামের ৩ ব্যক্তি নিজেদের মালিকানাধীন বলে নির্বিচারে পাহাড় কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলেছে। অথচ কাগজে মালিকানাধীন রয়েছে পাহাড়ের কেবল ৮ শতক। অথচ কেটে ফেলা হচ্ছে ৫৫ শতক জায়গা।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আনিসুজ্জামানকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। তদন্তের পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/উজ্জ্বল/আরসি