যত্রতত্র কোরবানি

কোরবানির জন্য ছিল সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান। কিন্তু পশু কোরবানি হল যত্রতত্র। যে যার খেয়াল খুশি, সুবিধা মতো ব্যবহার করেছে অলি-গলি, প্রধান রাস্তা, বাসার পার্কিং। সারা শহর জুড়ে পড়ে আছে পশুর বর্জ্য আর রক্ত। এ যেন নিয়ম না মানার প্রতিযোগিতা!

- Advertisement -

বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদুল আজহার দিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

- Advertisement -google news follower

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পশু কোরবানি জন্য নির্ধারিত স্থান ছিল ৩৭০টি। কিন্তু শুধুমাত্র তারাই সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করছেন যাদের বাড়ি পড়েছে নির্ধারিত স্থানের সামনে। এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধও ছড়িয়েছে।

তবে এর মধ্যে বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বিকাল ৫টার মধ্যে পুরো কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

- Advertisement -islamibank

সরেজমিনে বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, চৌমুহনি, বারিকবিল্ডিং, মুরাদপুর, ব্যাটারিগলি, এনায়েতবাজার, লাভলেইন, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গলির ভিতরের বাড়িগুলোয় দেখা মিলেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। যাদের বাড়ির পার্কিং আছে তারা গরু কোরবানি দিচ্ছেন সেখানেই। গরু কাটা শেষে সেখানে তারা পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পরও যত্রতত্র পশু জবাই করায় রক্ত ও পশুবর্জ্য ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মুরাদপুরের বাসিন্দা মো. আকবর বলেন, নির্ধারিত জায়গা থেকে জবাই করে মাংস বাসায় নিযে আসার জামেলা কে পোহাবে? তাই নিজেদের বাসার সামনেই জবাই করে আমরা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছি। পরে করপোরেশনের লোক এসে বর্জ্য নিয়ে যাবে।

ব্যাটারিগলির বাসিন্দা লাবনি আক্তার বলেন, কোরবানির আনন্দ বাচ্চাদের বেশি, তাই বাড়ির সামনে জবাই করলে পুরো পরিবার দোয়া পড়ে উপভোগ করতে পারি। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে করলে তো সেটা হয়না।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM