প্রতি বছরের মতো এবারও মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়েছে ভারত সরকার। এ বছর ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী নতুন ও পুরনো প্রকল্পের অধীনে বৃত্তিলাভের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ভারতীয় হাইকমিশন নির্বাচিত প্রার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার মিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এমএম নারাভানি।
২০০৬ সালে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ চালু করে। এ প্রকল্পের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩৬ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন এবং এতে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন। নতুন এ প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার উত্তরাধিকারীকে ৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ২০১৮ সাল হতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
দুটি প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীকে মোট ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের আওতায় ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে।