আগের দিনই জয়ের জন্য যাবতীয় আয়োজন শেষ করে রেখেছিল ভারত। বুধবার ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এ আনুষ্ঠানিকতাও শেষ করতে মাত্র ১৭ বল সময় নিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার ৯ উইকেটে ৩১১ রানে দিন শেষ করা ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩১৭ রানে।
এদিকে দারুণ এ জয়ে জমে উঠেছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ। ৫ ম্যাচের এ সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। আগামী ৩০ আগস্ট সাউদাম্পটনে শুরু হবে চতুর্থ ম্যাচ।
বলতে গেলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ সিরিজে কোহেলি একায় জিতিয়েছেন ভারতকে। যার ব্যাট হাসলে হাসে ভারতের দল। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ১০৩ রান।
বুধবার নটিংহাম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র একটি উইকেট। অন্যদিকে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২১০ রান। ৬ রান যোগ করার পর দিনের ১৭ বলের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসনকে তুলে নেয় ভারত। ফলে ২০৩ রানের বিশাল জয় পায় ভারত।
১৮ আগস্ট নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৯৭ ও অজিঙ্কা রাহানের ৮১ রানের দারুণ দুটি ইনিংসে ভর করে ৩২৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস তিনটি করে উইকেট নেন।
৩২৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংলিশরা। ইংলিশরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬১ রানেই। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া ৫টি, জাসপ্রিত বুমরা ও ইশান্ত শর্মা ২টি করে এবং মোহাম্মদ শামি নেন এক উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ১৬৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। প্রথম ইনিংসে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হওয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে আর ভুল করেননি, তুলে নেন ঝকঝকে এক শতক। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়া চেতেশ্বর পূজারা ৭২, হার্দিক পান্ডিয়া ৫২ ও শিখর ধাওয়ান ৪৪ রান করেন। তাদের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৩৫২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
জয়ের জন্য ৫২১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে অলআউট হওয়া ইংল্যান্ডের জন্য এই লক্ষ্য অসম্ভবই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জস বাটলার ও বেন স্টোকসই যা একটু লড়াই করলেন। স্টোকস অর্ধশতক (৬২) করে ফিরলেও বাটলার ফেরেন সেঞ্চুরি করেই (১০৬)। এই দু’জনের বিদায়ের পর বাকিটুকু ছিল যেন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। আর শেষ দিনে সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দারুণ এক জয় তুলে নেন কোহলি-পান্ডিয়ারা। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট নেওয়া বুমরা দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট।