চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চসিকের রাজস্ব বিভাগ এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সব ধরনের কর আদায় বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চসিকের সম্মেলন কক্ষে চারটি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, অটোমেশন পদ্ধতি চালুর ফলে নগরবাসী এখন ঘরে বসেই তাদের হ্যোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, মার্কেটের দোকান ভাড়া, উন্নয়ন চার্জ এবং ইজারাকৃত সম্পত্তির যাবতীয় কর ও ফি অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই অটোমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি যখন করপোরেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ছিল ৯ কোটি টাকা। যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি টাকায়। এ খরচ যোগাতে করপোরেশনকে পৌরকর আদায়ে জোর দিতে হচ্ছে। করপোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতাসহ বিবিধ সেবা সচল রাখতে হলে নগরবাসীকে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, বিগত মেয়রের সময়কালে কর আদায় হয়েছে ২৭ শতাংশ। অনেক চেষ্টার পর গত বছর কর আদায়ের পরিমাণ ৩৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় গত তিন বছর আট মাসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে চসিক। এক্ষেত্রে প্রকল্প পেতে চসিককে ২০-২৫ শতাংশ হারে ম্যাচিং ফান্ড দিতে হয়। কিন্তু একনেকের সভায় ১২৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর বদ্যনতায় জিরো ম্যাচিং ফান্ড অনুমোদিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও চার ব্যাংকের পক্ষে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও টিম লিডার মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ডাচ বাংলা ব্যাংকের অপারেশন ব্রাঞ্চ প্রধান মোশারফ হোসেন, ওয়ান ব্যাংকের অতিরিক্ত উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান চৌধুরী, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার উদ্দীন স্বাক্ষর করেন।