বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৭৭টি কেন্দ্রে একযোগে চলে ভোটগ্রহণ। তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। প্রায় কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
জ্যৈষ্ঠপুরা ইসলামিয়া হামিদিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও যারা এসেছেন তারাই ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন। সকাল ১০-১২টার মধ্যেই বেশিরভাগ ভোট পড়েছে। এরপর ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকা ছিল।
সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরুল আলম (নৌকা), জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী দিদারুল আলম ফজু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের সুজন (আনারস), এসএম নুরুল ইসলাম (দোয়াত কলম), সৈয়দুল আলম (মোটর সাইকেল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে জালভোটের অভিযোগ এনে দুপুরে নির্বাচন বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাসদ নেতা সৈয়দুল আলম (মোটর সাইকেল)।
বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা নৌকায় ভোট দিতে ভোটারদের হুমকি ধমকি দিয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকায় ব্যাপকভাবে জাল ভোট দিয়ে জনগণের মূল্যবান রায়কে তারা কলুষিত করেছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দায়িত্বরতদের বারবার অভিযোগ করার পরও প্রতিকার না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তিনি।
খাজা গরীবে নেওয়াজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ২০ ব্যক্তিই দিনভর ভোট প্রদান করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাল ভোট না হলে আমি নির্বাচিত হতাম। তারা আমাদের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।