প্রথমে ঝগড়া। তারপর কথাকাটাকাটি। স্ত্রীকে মারধরও করা হয়। একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে স্ত্রীর চোখ খুঁচিয়ে দেন স্বামী!
ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুর সিডিএ বি ব্লক আবাসিক এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) সীতাকুণ্ড মডেল থানায় স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
চোখে আঘাত পাওয়া নারীর নাম মোছাম্মৎ আয়েশা আক্তার (২৬)। স্বামীর নাম ইয়ামিন ওরফে রবিন। তাদের চার বছরের একটি মেয়ে আছে। ওই নারীর বাম চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে আয়েশা আক্তার জয়নিউজকে বলেন, সোমবার রাতে তার স্বামী চাকরি থেকে বাসায় ফিরেই তাকে বকাঝকা করতে শুরু করেন। এসময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়ামিন তাকে মারধর ও পরে কাঁচি দিয়ে চোখে আঘাত করেন।
আয়েশা অভিযোগ করেন, রাতে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার সকালে তাকে তার স্বামী ইয়ামিন নগরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার বাম চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান কতর্বরত চিকিৎসক। ওই দিন ইয়ামিন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ইয়ামিন বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আয়েশা মঙ্গলবার রাতে তার এক আত্মীয়কে নিয়ে থানায় গিয়ে বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান। ওসি মো. দেলওয়ার হোসেনের নির্দেশে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়েশার স্বামী ইয়ামিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার সকালে আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ইয়ামিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সুজায়েত হোসেন জয়নিউজকে বলেন, স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।