কক্সবাজারের পেকুয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের ক্যান্টিনে আরমান নামে এক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে অপর তিনজন ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের পরিবারের সদস্যরা কলেজ কম্পাউন্ডে ঢুকে অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে আরমানের ওপর হামলা চালায়। পরে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত আরমানুল হক প্রিন্সসহ আরো দুজনকে আটক করে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে কলেজ ক্যান্টিনে প্রথম বর্ষের ছাত্র আরমানুল হক প্রিন্স নাস্তা করছিলেন। এসময় সেখানে অবস্থানরত সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রিন্সের পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রিন্স ক্যান্টিনের ব্যবহৃত ছুরি নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করেন। এতে সাইফুলসহ তিনজন আহত হন।
আহতরা হলেন- সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাহ ঘোনা এলাকার মাস্টার নুরুল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরীর ছেলে শাহারিয়া আহমদ লিয়ন ও বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া এলাকার বশির আলমের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, আমরা পেকুয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা এসে ঘটনায় জড়িত আরমানকে আটক করে নিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া জয়নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনায় জড়িত আরমানুল হক প্রিন্সসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।