বিএনপির একাংশকে নিয়ে ‘নাগরিক সভা’করলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী মোকাব্বির খান।
সভায় উপস্থিত কয়েক শ জনতার মতামতের ভিত্তিতে তিনি শপথ নেওয়ার পক্ষে ইতিবাচক মত দেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শপথ নেবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তবে তার এই সভা বর্জন করেছে স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ। তাদের ভাষ্য, বিএনপির সমর্থনে মোকাব্বির বিজয়ী হলেও তিনি ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়ে শপথ গ্রহণের পাঁয়তারা করছেন। তাই বিএনপি তার সঙ্গে নেই।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর। কিন্তু মহাজোট প্রার্থী ও জাপা নেতা ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাহসিনার মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সেখানে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পান গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান। তিনি উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নৌকা ও ধানের শীষবিহীন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
রোববার বিশ্বনাথ উপজেলাবাসীর ব্যানারে সভা হলেও সেটি ছিল কার্যত স্থানীয় বিএনপির একটি অংশের আয়োজন। নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী। গত ১৮ মার্চের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের কলেজ রোড এলাকায় অনুষ্ঠিত সভার বক্তব্য দেন মোকাব্বির খান, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবদাল মিয়া, লামাকাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাহিদ মিয়া, অলংকারী ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বনাথের উন্নয়নের স্বার্থে মোকাব্বির খানকে শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া উচিত। এসময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে তাকে সংসদে দেখতে চান বলে স্লোগান দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতিবাচক মত দিয়েছেন। আমি এখন আমার দলের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমি সংসদে গেলে আপনাদের (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) মানসম্মান ডোবাব না।’
মোকাব্বির খানের এই সভাকে ‘লোক দেখানো’ বলে অভিহিত করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন। সভা শেষে তিনি বলেন, মোকাব্বির আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, শপথ নেবেন। তার সঙ্গে মূলধারার বিএনপির কেউ নেই।