পার্লামেন্টে আবারও হেরে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে মে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা আগেই বাতিল হয়েছে। এবার বিকল্প ৪টি প্রস্তাব নিয়েও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে কাস্টমস ইউনিয়ন এবং নরওয়ে পদ্ধতির ব্যবস্থাপনায় ব্রিটেনকে একক বাজার ব্যবস্থায় রাখাসহ চারটি বিকল্প প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। কিন্তু সেই ভোটে একটি প্রস্তাবও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
এ বিষয়ে মে’র নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠক হবে। ব্রেক্সিটের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী ১২ এপ্রিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের।
তবে সোমবার রাতের ওই ভোট আইনিভাবে বাধ্যতামূলক না হওয়ায়, সরকারও এগুলোর মধ্য থেকে কোনোটি পাশ হলে তা বাস্তবায়নে বাধ্য ছিল না। হাউজ অব কমন্সের নীতি নির্ধারণী এমপিদের ৪ ঘণ্টা বিতর্কের পর ভোটে সবগুলো প্রস্তাব অল্প ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায়।
প্রস্তাবগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় থেরেসা মে’কে আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে হয় ইইউর কাছ থেকে ব্রেক্সিটের জন্য সময় বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। না হলে চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্রিটেনকে।
এর আগে ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’র প্রস্তাবিত তিনটি খসড়া চুক্তি পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে বাতিল হয়ে যায়।