মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে উপজেলার শীলছড়ি সীতাদেবী মন্দির পরিচালনা কমিটির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মহাবারুণী স্নানে অংশ নিতে সকাল হতে কাপ্তাই, রাঙামাটি, রাঙ্গুনিয়া, রাজস্থলী, রাউজান, হাটহাজারী, চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গা হতে হাজারোও পুণ্যার্থীদের আগমন ঘটে এখানে।
চট্টগ্রামের জামালখান হতে আসা দুই বন্ধু হারাধন দে ও সজীব দের সঙ্গে কথা হয় কাপ্তাই সীতারঘাট মন্দিরে। তারা জানান, প্রথমবারের মতো সীতাদেবীর মন্দিরে এসে মহাবারুণী স্নানে কর্ণফুলি নদীতে স্নান করে নিজেকে ধন্য মনে করছেন।
সীতাদেবীর মন্দিরের সভাপতি রতন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দাশ জয়নিউজকে জানান, এবছর ১২ থেকে ১৫ হাজার ভক্তের আগমন ঘটেছে মহাবারুণী স্নানে। এখানে সীতাদেবীর মূল মন্দির ছাড়াও রয়েছে সীতারঘাট, রামমন্দির, কালি মন্দির এবং ত্রিনাথ বৃক্ষ। ভক্তরা ঘুরেফিরে আনন্দ লাভ করেন।
এদিকে মন্দির কমিটির সভাপতি রতন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক স্বপন মহাজন, অর্থ সম্পাদক খোকন কুমার দে, রাঙামাটি জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশগুপ্ত, কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কান্তি ভট্টাচার্য সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, চন্দ্রঘোনা হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার, সন্তোষ কুমার দাশ, বাবুল চন্দ্র দে ও টিটন দেব।
মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময়ানন্দ ব্রক্ষচারী এ মন্দিরকে মহাতীর্থ স্থানে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন।