অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের অন্যান্য বন্দরগুলোতে স্ক্যানিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে বন্দরের কনটেইনার জট কমানোর জন্যও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার মিলনায়তনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র। তাই বাজেট প্রণয়নের আগে আমরা প্রথম এসেছি চট্টগ্রামে।
রাজস্ব প্রদান করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় দেশ প্রথমে মধ্যম আয়ের দেশ ও পরে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আমরা অসাধু ব্যবসায়ী চাই না। যে ব্যবসায়ী নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেন না তার কারণে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। ব্যবসায়ের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়।
যারা ব্যবসার ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বন করবেন তাদের বেশি করে জরিমানা ও শাস্তি প্রদান করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোন সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদেরকেও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
স্বাগত বক্তব্যে কাস্টম আইনের আধুনিকায়নের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী, সমুদ্রবন্দরে ৩০ দিন এবং বিমানবন্দরে ২১ দিনের মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। পচনশীল ভোগ্যপণ্য মাসের পর মাস বা অনেক ক্ষেত্রে এক বছরেরও বেশি সময় ফেলে রাখা হয়। ইতিমধ্যে এরকম ২১০ কনটেইনার আমদানিকৃত পচনশীল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। সরকার এতে কোনোভাবেই লাভবান হয়নি, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে নতুন ল্যাব স্থাপন, আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি ও শতভাগ অটোমেশনের আওতায় আনার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে কাজে অনেক গতি আসবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশ্ব পোশাক বাজারে আমাদের অংশ মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ওষুধ শিল্পের বাজারে আমাদের অংশ মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। টেস্টিং ফ্যাসিলিটি এবং কাঁচামাল সংগ্রহের বিকল্প উৎস সন্ধান করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিলে ওষুধ রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, মো. মেফতাহ্ উদ্দিন খান, মো. রেজাউল হাসান, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, উপসচিব ও চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. কামরুল হাসান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মালেক, পরিচালক আব্দুল আউয়াল, শফিক উদ্দিন, সৈয়দ মোহাম্মদ আবু তাহের, মোহাম্মদ শফি, ডব্লিউ আর আই মাহমুদ (রাসেল), জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আহমেদুল হক, এম সোলায়মান এফসিএমএ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও অজিত কুমার দাস।