নগরপিতার সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে নগরজুড়ে। বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি অংশ নেয় সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলেও দাবি ছিল অভিন্ন, নগরপিতার সঙ্গে বেয়াদবি করা দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী পলাশকে প্রত্যাহার করে শাস্তি দিতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ড
সংসদের ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও সমাবেশ। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সহকারী কমান্ডার কমান্ডার এফ এফ আকবর খাঁন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা কাজী নূরুল আবছার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি শাহ নূরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চান্দগাঁও থানা কমান্ডার কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, খুলশী থানা কমান্ডার মো. ইউছুপ, বন্দর থানা কমান্ডার কামরুল আলম জতু, পাহাড়তলী থানা কমান্ডার হাজী জাফর আহাম্মদ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার আলী হোসেন, ইপিজেড থানা কমান্ডার আবুল কালাম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমান্ডার খায়রুল বশর, ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর উদ্দীন, রফিকুল আলম, আবুল কাশেম, লিয়াকত হোসেন, অঞ্জন কুমার সেন গুপ্ত, এয়াকুব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম তৌফিক, আবদুর রব কায়েস, শামসুল হুদা, রঞ্জন সিংহ, মো. সৈয়দ আহাম্মদ, হেলাল উদ্দীন, অরুণ কান্তি দাশ, সৈয়দ আবদুল গণি, আনোয়ার হোসেন ও নূর আহামদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নন্দিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশের অশোভন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। যেকোনো মুহূর্তে সে জনরোষের শিকার হতে পারে।
পলাশ চট্টগ্রামে কর্মরত থাকলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড নেতারা। নেতৃবন্দ আশ্রাফুজ্জামান পলাশকে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)
সংগঠনের উদ্যোগে সিজেকেএস প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সিজেকেএসের সহসভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস সহসভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং শাহজাদা আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল হাশেম, সৈয়দ আবুল বশর, আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, গোলাম মহিউদ্দীন হাসান, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জাহেদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন, রেখা আলম চৌধুরী, রেজিয়া বেগম ছবি, সিজেকেএস কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেদু, এসএম শহীদুল ইসলাম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মকসুদুর রহমান বুলবুল, আকতারুজ্জামান, লোকমান হাকিম, মো. ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুর রহমান মাহবুব, মো. লুৎফুল করিম সোহেল, শওকত হোসেনসহ সর্বস্তরের ক্রীড়া সংগঠকরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশের অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং চট্টগ্রাম থেকে তাকে শীঘ্রই প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
আধুনিক চক সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি
সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আধুনিক চক সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহাম্মদ, সাংবাদিক নেতা অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী, সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন, মো. আলমগীর, সেলিম উদ্দিন, সেকান্দার, সাংবাদিক সমীরন পাল, এস ডি জীবন, রাজীব চক্রবর্তী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে অশোভন আচরণকারী আশ্রাফুজ্জামান পলাশকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিটি মেয়রের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং চট্টগ্রাম থেকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন
সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাঠি মিছিলের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মিরন হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিরিঙ্গীবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন মিয়া, দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. আলমগীর, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হকার্স সমিতির সহসভাপতি জসিম হাজারী, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহিম, সহ প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, সদস্য মো. মঞ্জু, মো. সোহেল, মো. ইয়াছিন, ৩নং শাখা কমিটির মো. আলী, মো. ফারুক, ৪নং শাখা কমিটির মো. সাহাব উল্লাহ, মো. মাসুদ, ৫নং শাখা কমিটির মো. রাহিম, জসিম উদ্দিন সিকদার, ৬নং স্টেশন রোড শাখা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার, মো. কাইয়ুম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সফর আলী বলেন, চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন যে কোন আপদে বিপদে ফুটপাতের হকারদের পাশে ছিলেন। হকার ভাইরা রক্ত দিয়ে হলেও মেয়রের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা প্রতিহত করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অশোভন আচরণ করলে চট্টগ্রামের হকারদের সঙ্গে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
বিশেষ অতিথি হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, প্রকৌশলী পলাশ যে আচরণ করেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। তাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করা হোক। মেয়র ষাট লক্ষ জনগণের প্রতিনিধি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হয় তা তিনি জানেন না। তাকে যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
সমাবেশ শেষে এক লাঠি মিছিল নগরের দারুল ফজল মার্কেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট, জিপিও, কোতোয়ালি, লালদিঘীর পাড়, বক্সিরহাট, আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে সিটি করপোরেশন চত্বরে এসে শেষ হয়।
চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কোনো ধরনের সৌজন্য না দেখিয়ে উপস্থিত সিনিয়র প্রকৌশলীদের ‘সুপারসিড’ করে প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশ যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অশোভন আচরণ করেছেন তার জন্য অনতিবিলম্বে ঐ প্রকৌশলীকে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
তারা বলেন, সিটি মেয়রের ক্লিন ও গ্রিন সিটি বাস্তবায়নের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সিটি মেয়র ৬০ লক্ষ মানুষের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনি নগরবাসীর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে পোর্ট কানেকটিং রোডের জলাবদ্ধতা রোধে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি না হওয়ার জন্য ড্রেনটি সোজা করার কাজ শুরু করেছিলেন।
কিন্তু উক্ত স্থানে আশ্রাফুজ্জামান অবৈধ বাজার বসিয়ে নিজ স্বার্থরক্ষায় মেয়রের সঙ্গে যে শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি করছেন আর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি করলে সারা চট্টগ্রাম অচল হয়ে যাবে। সেবা থেকে বঞ্চিত হবে নগরবাসী।
এসময় বক্তব্য রাখেন চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ডা. নাসিম ভুঁইয়া, ডা. আশিষ মুখার্জি, ডা. তৌহিদুল আলম খান, ডা. দিদারুল মনির রুবেল, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. পলাশ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, ইনচার্জ আবু সালেহ প্রমুখ।
সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতি
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কলেজ ও স্কুল শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ। বিকালে নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে চসিক কলেজ ও স্কুল শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নগরপিতা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে বিরামহীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই প্রয়াসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার হীন মানসে কথিত প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশ মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে যে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন, তা চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবে না। তাকে অবিলম্বে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে এবং মেয়র মহোদয়ের কাছে গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার স্থান এই চট্টগ্রামে হবে না।’
সমিতির সভাপতি ছরওয়ার জামালের সভাপতিত্বে এবং কলেজ শিক্ষক সমিতির সাবেক সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম মাকসুদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, বিএফইউজে সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিটি করপোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, আইনজীবী ফাতেমা আক্তার, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ঝিনু আরা বেগম, অধ্যক্ষ এস এম উমর ফারুক, অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান, অধ্যক্ষ রেহেনা আক্তার খান, অধ্যক্ষ আমিনুল হক, অধ্যক্ষ জাবেকা বেগম, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শাহেদুল কবির চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক আলী আকবর, প্রধান শিক্ষক এস এম এহসান উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন, প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আকতার আহমেদ, প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কর, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল কাইয়ুম চৌধুরী, সহসভাপতি বোধিমিত্র শ্রমন, আকতার জাহান, জমির উদ্দিন নূরী, অর্থ সম্পাদক নুরুল কবির, সহকারী প্রধান শিক্ষক সুমেধ তাপস বড়ুয়া, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সুমন দত্ত, সহসাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরেফে জামি, প্রচার সম্পাদক এএসএম সোহাইল, খন্দকার মোহাম্মদ নজরুল করিম ও আবদুর রহিম হিমু প্রমুখ।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স চট্টগ্রাম জেলা
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামানের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স চট্টগ্রাম জেলা, মহিলা পরিবার কল্যাণ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম, প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী অসিম বড়ুয়া।
সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম (আইইবি) শাখার নেতৃবৃন্দ। এতে ৪ শতাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন।
হালিশহর নাগরিক ফোরাম
হালিশহর বড়পুল এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের সামনে হালিশহর নাগরিক ফোরামের ব্যানারে ১০টি সামাজিক সংগঠন প্রকৌশলী পলাশের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশ
সিজেকেএসের চলমান প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দুটি দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা খেলা শুরুর আগে দাঁড়িয়ে প্রকৌশলী পলাশের অশোভন আচরণের প্রতিবাদ জানান। তারা চট্টগ্রাম সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ
প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান পলাশকে অপসারণ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ (বাংলার মুখ)। পরে পলাশের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আমির সোহেল বলেন, ‘ঐ দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী পলাশ বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি, ঘুষ ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে। সে চট্টগ্রামের অভিভাবক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের সঙ্গে ব্যক্তি এজেন্ডা বাস্তবায়নে করতে গিয়ে অসৎ আচরণ করেছে।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আবু বক্কর তোহা, সাবেক আইন সম্পাদক আবু সাঈদ মারজন, সাবেক উপ-পরিবেশ সম্পাদক সাইফুল সুমন, সহ-সম্পাদক রবিন প্রমুখ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ফোরাম, শেরশাহ হাউজিং এস্টেট পরিষদ, বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ চট্টগ্রাম, পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, আমরা জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, হালিশহর নাগরিক ফোরাম, মহানগর শ্রমিক লীগ, চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
এর আাগে বুধবারও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী, চসিক কাউন্সিলর, সিবিএ কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সচিব, শ্রমিক ও কর্মচারী লীগের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।