হাটহাজারীতে অজ্ঞাত রোগে ছয় দিনে একই পরিবারের তিন জনসহ চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত আরো ২১ জন শিশু। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূ্ত্রে জানা যায়, -হাটহাজারীর এক নম্বর ফরহাদাবাদ এলাকার সোনাই ত্রিপুরাপাড়ায় মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) থেকে রোববার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত ২১ শিশু জ্বর ও শরীরে ছোট ছোট দাগ নিয়ে ভর্তি হয়। এর আগে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে চার শিশু বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসকরা রোগের কারণ নির্ণয় করতে পারেননি। ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানোর জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মারা যাওয়া একই পরিবারের তিনজন এক নম্বর ফরহাদাবাদ দক্ষিণ উদারীয়া এলাকার শাম কুমার চাকমার মেয়ে অন্ন রায় (০৫), সুমা রায় (০৩), অন্ন বালা (০৭)।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে শনিবার (১৭ আগস্ট) তিন বোনের জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। কয়েকদিন পর তাদের পুরো শরীরে লাল লাল দাগ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে অজ্ঞান হয়ে মারা যায় অন্ন রায়। পরে শুক্রবার মারা যায় সোমা রায়। আজ (২৬ আগস্ট) সকাল আটটায় মারা যায় অন্ন বালা।
মৃত আরেকজন শিমুনী ত্রিপুরা (০৩) একই এলাকার রমেশ চাকমার মেয়ে। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) মারা যায় শিশুটি।
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান জয়নিউজকে বলেন, সোনাই ত্রিপুরাপাড়ায় রোববার সকালে এক শিশু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। পরে ওই পরিবারের আরো দুই শিশু একই কারণে মারা যায়। আজকেও অন্য পরিবারের আরেকজন শিশু মারা যায়। এখন পর্যন্ত ওই এলাকার মোট ২১ শিশুকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। এলাকার বাসিন্দাদের শিক্ষার হার কম এবং তারা কুসংস্কারের বিশ্বাসী হওয়ায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমতিয়াজ হোসাইন জয়নিউজকে বলেন, এখনো রোগ চিহিৃত করা যায়নি। তবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য অসুস্থদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।